বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিনিময়ে আন্তঃদেশীয় গ্রিড স্থাপনে একমত সার্কভুক্ত দেশগুলো

491

Published on ডিসেম্বর 22, 2014
  • Details Image

ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্কের দেশগুলোর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের দু’দিনব্যাপী এক যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল বৈঠকের শেষ দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুত্, জ্বালানি এবং গ্যাস বিনিময় সহজ করতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক গাফরি এম ইব্রাহিম বলেন, বৈঠকটি খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। দু’দিনব্যাপী বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান (বিআরসি) এ আর খান বলেন, ‘এ অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যুত্ বিনিময় করতে আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইনের দরকার।’ এ ক্ষেত্রে বাধাগুলো চিহ্নিত করে দূর করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নেপালে অনুষ্ঠিত সার্কের সরকারপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকে বিদ্যুত্ বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে, এর সূত্র ধরেই কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোয়ালিটি বিদ্যুত্ সরবরাহ ও বেচাকেনার বিষয়ে একমত হয়েছি।’ বৈঠকে এসব বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন জানিয়ে এ আর খান বলেন, এ নিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন থেকে একটি কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিদ্যুতের একমাত্র বিক্রেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার কোড তুলে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বিদ্যুেক পণ্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। নতুন এ পদ্ধতিকে বলা হচ্ছে বাণিজ্যিক বিদ্যুত্। বর্তমানে অনেক বেসরকারি কোম্পানি বিদ্যুত্ উত্পাদন করছে। কিন্তু তাদের সরাসরি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। তাদের উত্পাদিত বিদ্যুত্ কিনে সরকার নিয়ন্ত্রিত কোম্পানির মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বাণিজ্যিক বিদ্যুত্ পদ্ধতি চালু হলে বিদ্যুত্ উত্পাদন করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রির সুযোগ পাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ১৯০১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে প্রথম যখন বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয় তখন বাণিজ্যিক বিদ্যুতেই উত্পাদন করা হতো। পরে রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়।

সম্প্রতি সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বিদ্যুতের সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সার্ক রেগুলেটররা বৈঠক করেন। গত রোববার ঢাকায় শুরু হওয়া সার্ক এনার্জি রেগুলেটরদের বৈঠকে খসড়া তৈরি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তৈরি করা খসড়ায় চারটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে বিদ্যুত্ বিনিময়, সার্কে জ্বালানি বাণিজ্য, একে অন্যের জ্ঞান-অভিজ্ঞতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিনিময় এবং আইন বা নীতিগতভাবে এক অবস্থানে পৌঁছানো। বৈঠকে সার্কের আটটি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে এই খসড়া তৈরি করেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত