বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে একমত বাংলাদেশ-ভুটান

443

Published on ডিসেম্বর 6, 2014
  • Details Image

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের নেতৃত্বে শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দুই প্রধানমন্ত্রীই পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।”

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বর্তমানে ১৫৫ কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে ভুটান থেকে ১৭৫ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভুটানে ২০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়।

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, সিরামিক পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, প্রসাধনী পণ্য, রাসায়নিক এবং মৌসুমী শাক-সব্জি আমদানি করতে ভুটানের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকার প্রধান।

শামীম চৌধুরী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু পণ্য ভুটানকে আমদানি করতে বলেছেন এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তাতে রাজি হয়েছেন।”

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি বিশেষ করে চিকিৎসক নেওয়ার কথা বলেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

ভুটানে কর্মরত বাংলাদেশি চিকিৎসকদের বেতন বৃদ্ধির প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন শেরিং তোবগে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ছিলেন।

ভুটানের পক্ষে সেদেশের অর্থমন্ত্রী নরবু ওয়াংচুক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিনজিন দর্জি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পলিসি ও প্ল্যানিং বিভাগের মহাপরিচালক সোনম তোবদেন রাবজি এবং প্রধান নগর নকশাবিদ তাশি পেঞ্জর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ভুটানের একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছেন শেরিং তোবগে।

শামীম চৌধুরী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এবং ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ট্রানজিটের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।”

এজন্য বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও তাতে একমত পোষণ করেছেন বলে শামীম চৌধুরী জানিয়েছেন।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই ধর্মীয় পর্যটনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

পরিবেশ দূষণ কমাতে নির্মাণ কাজে ইটের বদলে পাথর ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান।

তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে শেরিং তোবগে মন্ত্রিসভায় বিরোধীদলের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।

শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের প্রশংসাও করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।

ভুটানের রাজার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সে দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান শেরিং তোবগে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভুটানের রাজার এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে সপরিবারে কক্সবাজার ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন শেরিং তোবগে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত