488
Published on নভেম্বর 18, 2014একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল নগরীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
৮৫৩.৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০০ কেভির এই সঞ্চালন লাইন রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
এই প্রকল্পের আওতায় ৭০ কিলোমিটার আশুগঞ্জ-ভুলতা ৪০০ কেভি ডুয়েল সার্কিট ট্রান্সমিশন লাইন, ভুলতা-হরিপুর- রামপুরা ২৩০ কেভি ডুয়েল সার্কিট লাইন-ইন ও তিন কিলোমিটারের লাইন-আউট, ভুলতা-ঘোড়াশাল-রামপুরা ২৩০ কেভি ডুয়েল লাইন-ইন ও ১ কিলোমিটারের লাইন আউট এবং ভুলতায় (নারায়ণগঞ্জ) ৪০০/২৩০ কেভি, ২ ঢ ২৫০ এমভিএ এআইএস সাব-স্টেশন নির্মিত হবে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এ এইচ এম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফকালে বলেন, একনেক ১ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আউটলেসহ ৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১ হাজার ১০২ দশমিক ৬৪ কোটি এবং অবশিষ্ট ২৫০ দশমিক ৮২ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে যোগ দেবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর তিনটি নতুন ও অপর ৪টি সংশোধিত।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে আগুগঞ্জ--ভুলতা ৪শ’ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে।
মন্ত্রী বলেন, ট্রান্সমিশন লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ৬৩৭ দশমিক ৮৫ কোটি এবং পিজিসিবি ২৯৫ দশমিক ৮২ কোটি টাকা দেবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সেখানে ৮শ’ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈঠকে ১০৪ দশমিক শূন্য ১ কোটি টাকা ব্যয়ে মদন-খালিয়াজুড়ি সাবমার্জিবল সড়ক এবং নেত্রকোনা-মদন-খালিয়াজুড়ি সড়কে বালাই নদীর ওপর পিসি গ্রার্ডার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
মোস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে এই এলাকা সফরকালে এই সাবমার্জিবল সড়ক ও পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের অঙ্গীকার করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
নতুন অনুমোদিত অপর প্রকল্পটি হচ্ছে, আউটলেসহ ৫৫ দশমিক ৪৮ কোটি টাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (২য় পর্যায়) সংস্কার ও আধুনিকীকরণ।
সংশোধিত ৪ প্রকল্প হচ্ছে,হস্তচালিত তাঁত বস্ত্রের উন্নয়নে ফ্যাশন ও ডিজাইন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও একটি বেসিক সেন্টার নির্মাণ, দ্বিতীয় সংশোধিত (৩৮ দশমিক ৪০ কোটি টাকা), পুলিশের ৬০টি তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ, প্রথম সংশোধিত (১৭৪ দশমিক ৪৬) কোটি টাকা, দুটি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ, প্রথম সংশোধিত (৫৪ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা) এবং পরিদর্শন বিভাগের কারখানা ও প্রতিষ্ঠান ও ৯ জেলা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, প্রথম সংশোধিত (৫৪ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা)।
এ ছাড়া একনেকে নাম পরিবর্তন করে ‘উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প’র অনুমোদন দেয়া হয় । আগে এ প্রকল্পের নাম ছিলো ‘উপকূলীয় শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প।’
মন্ত্রীবর্গ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)
-ইয়াসিন কবির জয়