503
Published on নভেম্বর 10, 2014অনুমোদিত খসড়া বিলগুলো হচ্ছে- মেট্রো রেল বিল, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিল ২০১৪, জ্বালানি সহযোগিতা (বিদ্যুৎ) সংক্রান্ত সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট এবং সার্ক দেশগুলোর জন্য সার্ক রিজিওনাল রেলওয়ে এগ্রিমেন্ট।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের অপারেশন, কন্ট্রোল ও রেগুলেশনসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেয়ার লক্ষ্যে মেট্রো রেল বিল-২০১৪’র খসড়া অনুমোদন করেছে।
রাজধানীতে মাস র্যা পিড ট্রানজিট (এমআরটি) ব্যবস্থা চালুর লক্ষ্যে মেট্রো রেল প্রকল্প বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। সরকারি-বেসরকারি-অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) মেট্রো রেল পরিচালনা করবে। ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি ডিএমটিসিএল-কে তত্ত্বাবধান করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের রুট হবে উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এটি পল্লবী, রোকেয়া সরণী, খামার বাড়ী, ফার্মগেট, হোটেল সোনারগাঁও, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও তোপখানা রোড হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে যাবে।
বিলে মেট্রো রেল পরিচালনার লাইসেন্স প্রদান ও ভাড়া নির্ধারণে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান হবেন ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির নির্বাহী পরিচালক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিপিপি’র আওতায় বড় অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিল-২০১৪’র খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।
এ বিল পিপিপি’র বিদ্যমান নীতি ও কৌশলকে একটি কার্যকর বৈধতা দেবে। প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি পিপিপি’র প্রকল্পগুলো অনুমোদন করবে।
এতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি পিপিপি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ভাইস চেয়ারম্যান থাকবেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এর সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন।
‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং বিল-২০১৪’-এর লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিংয়ে মানোন্নয়ন ও অন্যান্য বিষয় দেখাশোনার জন্য বিলে ১০ সদস্যের একটি পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। কন্ট্রোলার ও অডিটর জেনারেলের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি পরিষদ সদস্যদের বাছাই করবেন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণে মন্ত্রিসভা ‘সার্ক ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট ফর এনার্জি কো-অপারেশন (বিদ্যুৎ)’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠেয় ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভা সার্ক দেশগুলোর জন্য সার্ক রিজিওনাল রেলওয়ে এগ্রিমেন্টও অনুমোদন করেছে। এটি সম্প্রতি পরিবহন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার গ্রুপ চূড়ান্ত করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৪তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর আওতায় বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান, বাংলাদেশ-নেপাল-ভারত এবং বাংলাদেশ-ভুটান-ভারতের মধ্যে বেশ কয়েকটি রেল সংযোগ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ চুক্তিও আসন্ন সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হতে পারে।
বৈঠকে মন্ত্রী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)