457
Published on অক্টোবর 28, 2014সোমবার খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতি সহায়ক এবং সকল সামষ্টিক অর্থনীতির সূচক জোরালো রয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ বিনিয়োগে আগ্রহী হলে আসুন এবং আমাদের অবস্থা দেখুন। আমাদের পক্ষ থেকে অবশিষ্ট সুযোগ-সুবিধাসমূহ দেয়া হবে। আমরা পরিবেশ তদারকি সহজ করেছি, যা সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ অনেক ভাল। আমরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছি। আমরা এখন ইউএই ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশের বৃহত্তম বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ বেড়ে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ২শ’ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রয়েছে। কখনও কখনও ডলারের বিপরীতে টাকার মান বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোন বিদেশী বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ থেকে ভাল মুনাফা তুলে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প উচ্চমান এবং কম উৎপাদন খরচ, নমনীয় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং যথাসময়ে সরবরাহের অঙ্গীকার পূরণের কারণে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বিপুল সুনাম অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ইউএই’র সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী এবং বন্দর, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, আবাসন, বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন ও টেলিযোগাযোগের মতো নতুন খাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎযাপনে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বাংলাদেশ রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশের ‘ব্লু ইকোনমি’-এর ধারণা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে উপকূলীয় ও দ্বীপ দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জসহ সীমাবদ্ধ পরিস্থিতিতে তুলনামূলক সক্ষম টেকসই উন্নয়নের ধারণা তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ ২০১২ সালে মায়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনী লড়াইয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করেছে। এজন্য বাংলাদেশ নিজেকে ‘ব্লু ইকোনমি’ দেশ হিসেবে দাবি করতে পারে।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা
ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়