487
Published on অক্টোবর 27, 2014আগামী ২০১৫-১৮ সেশনের জন্য কাউন্সিল নির্বাচিত হওয়ায় এর এ তথ্য জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রচারণার নেতৃত্বে দিতে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের ১৩টি পদের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে ১৮টি দেশ।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বাংলাদেশ সময় তখন ভোর রাত। ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৬৭ দেশ ভোট দেয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশের নিকটতম চার প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ছাড়া চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ার মতো পরাশক্তিও অংশ নেয় এই লড়াইয়ে। মুসলিম দেশ বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, লেবানন, সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং ফিলিপাইন এবার এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো।
সূত্র জানিয়েছে, ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হতে একের পর এক নেটওয়ার্কিং বৈঠক করেছেন প্রতিমন্ত্রী পলক, বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসসহ প্রতিনিধিরা। গত শনিবার এবং রোববার দু’দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। এরই মধ্যে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। বাংলাদেশ বর্তমানে কাউন্সিল সদস্য দেশ। এ কারণে পদটি ধরে রাখা এক রকম মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আর সে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার সব চেষ্টা চালাচ্ছেন সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
টেলিযোগাযোগ দুনিয়ার এ সর্বোচ্চ আয়োজনে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। কি কি কাজ করতে চায়, দেশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে কি কি অর্জন করতে চায় এসব তুলে ধরেছেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে বাংলাদেশের পজেশন পেপার, নির্বাচনী ইশতেহার এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রীও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রচারণা অংশ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সিটিও সম্মেলনেও ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। সব মিলে ভালোই সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্র।