সার্ক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ

501

Published on অক্টোবর 19, 2014
  • Details Image

সূচকের শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। ক্ষুধা ও দারিদ্র্য কমানো, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ভারতের সামনে রয়েছে বাংলাদেশ। এসডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনায় পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) তৈরি করা প্রতিবেদনটি আজ প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার প্রমুখ।

সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম এ বিষয়ে বলেন, প্রায় প্রতিটি সূচকেই শ্রীলঙ্কার অর্জন সবচেয়ে ভালো। বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে বেশ ভালো সাফল্য পেয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ শিশুর ওজন কম ছিল। বর্তমানে এ হার ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। নারী শিক্ষার হার, হামের টিকা গ্রহণের হার, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এ সাফল্যের মূলে রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯১-৯২ সালে জাতীয় মাথাগুনতি দারিদ্র্য

৫৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ২০১০ সালে হয়েছে সাড়ে ৩১ শতাংশ। একই সময়ে ৪১ শতাংশ থেকে কমে চরম দারিদ্র্য ঠেকেছে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুবাদে এ সময়ে কাক্সিক্ষত হারে দারিদ্র্য কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফার্টিলিটি রেট কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্টার পারফর্মার। এক্ষেত্রে যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান। সূচকটিতে ভারতের অবস্থান তৃতীয়।

নবজাতক মৃত্যুর হার কমাতে শ্রীলঙ্কা স্টার পারফর্মার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। গড় আয়ু বৃদ্ধিতে শ্রীলঙ্কার পরেই রয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার কমাতে শ্রীলঙ্কার পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে বাংলাদেশ ও নেপাল। স্যানিটেশন উন্নয়ন ও নবজাতকের টিকা দানে শ্রীলঙ্কার পরে রয়েছে বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের আকার ছিল জিডিপির ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এর আকার দাঁড়ায় জিডিপির ৯ দশমিক ৬১ শতাংশে। মোট খানার ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ মাইক্রো ফিন্যান্স কার্যক্রম বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখে। এর বাইরে আরও ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ খানা বিভিন্ন তহবিলে সঞ্চয় করে।

প্রতিবেদনে ন্যায়বিচারের অধিকার নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্যবিরোধী নীতিমালা ও কর্মসূচিতে দরিদ্র ও নারীদের কার্যকরী অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, ছেলে এবং মেয়েশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার, প্রাথমিক শিক্ষায় সমাপ্তি, গুণগত শিক্ষা, পানি, মাটি ও বায়ুর গুণগতমান, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১৩তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সার্ক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করে। এতে চারটি ক্ষেত্রে ২২টি লক্ষ্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত