481
Published on অক্টোবর 12, 2014
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বোস্টনে ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক সম্মেলনে মূল বক্তব্যে বাংলাদেশে প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিল গেটস।
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রসারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ফোন বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এবং এই ক্ষেত্রে বিকাশ প্রশংসার দাবিদার।”
বাংলাদেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস বা মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০১০ সালে। এ পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংককে এ সেবা দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ১৯টি ব্যাংক এ পদ্ধতি শুরু করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান মানি ইন মোশন এলএলসির যৌথ উদ্যোগে ‘বিকাশ’র কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছর এতে বিনিয়োগ করে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’, যার সহসভাপতির দায়িত্বে আছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটস।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থায় লেনদেন করে। আর প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
“বিকাশের কার্যক্রম শুরুর পর এখন বাংলাদেশের এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ অর্থ স্থানান্তর, কেনাকাটা করে বিল পরিশোধের মতো আর্থিক সেবা গ্রহণ করছে,”
এসব গরীবদের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন’ বহুমুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে জানান বিল গেটস।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গরীব মানুষ, অর্থাৎ যারা ব্যাংকের প্রচলিত রীতি অনুসরণে সক্ষম হন না, তাদের কষ্টার্জিত অর্থ নামমাত্র সেবামূল্যে লেনদেন সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া খুব সহজে ডিজিটাল সিস্টেমে অ্যাকাউন্ট খোলা ও কেনাকাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে ব্যবস্থার সুফল ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পেতে শুরু করেছে।”
বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ডিজিটাল ব্যবস্থার ‘অভূতপূর্ব’ সাফল্য নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন বিল গেটস।
-বিডি নিউজ