483
Published on সেপ্টেম্বর 22, 2014আগামী বছরেই কাজ শুরু করতে ৬টি প্যাকেজে মোট ৮টি দরপত্র আহবানের প্রস্তুতি নিচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প ।
আগামী জুলাই মাসে এ প্রকল্পের পরিপূর্ণ নকশা (ডিটেইলড ডিজাইন) চূড়ান্ত হবে এবং ২০১৯ এর মধ্যে প্রকল্প সম্পন্ন হবে বলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান।
দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ভূমি অধিগ্রহণের বিশেষ বিধান রেখে গত ২৮ এপ্রিল মেট্রোরেল সংক্রান্ত আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ২০১৩ সালে সরকার এই প্রকল্পকে ছয়টি অগ্রাধিকার প্রকল্প (ফাস্ট ট্র্যাক) এর অন্তর্ভুক্ত করে
প্রতি চার মিনিট পরপর ১ হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে ছুটে চলবে এই মেট্রোরেল, ঘণ্টায় চলাচল করবে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী।
মোট ২৮ জোড়া মেট্রোরেল চলাচল করবে রাজধানীতে। রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে উত্তরা থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-ফার্মগেট হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে এই মেট্রো রেল। সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম।
রাজধানীর রাস্তার মাঝ বরাবর উপর দিয়ে চলবে মেট্রোরেল। মেট্রোরেল স্টেশন হবে প্রায় দোতলা সমান উঁচু।
প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রিজ তৈরির পর লাইন তৈরি করা হবে, ইতোমধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণে ‘এলাইনমেন্ট’ ও ১৬টি স্টেশনের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
দোতালা উচ্চতার এই স্টেশনের নিচতলায় হবে টিকেট ক্রয় ও স্বয়ংক্রিয় প্রবেশ দ্বার। দুইপাশ থেকে যাত্রীরা আসা যাওয়া করতে পারবে এ স্টেশনে। মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত নকশা মেট্রোরেলের প্রস্তাবিত নকশা প্রায় ১৮০ মিটার লম্বা হবে এ স্টেশন।
মেট্রোরেল নির্মাণকালীন বিভিন্ন স্থানে ৫টি কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড তৈরি করা হবে এবং নির্মানকাজ রাত ১১ থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হবে- উত্তরা (উত্তর), উত্তরা (সেন্টার), উত্তরা (দক্ষিণ), পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর-১০ নম্বর, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেইট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকায়।
ছবিঃ দ্য ডেইলি স্টার