424
Published on সেপ্টেম্বর 22, 2014ল্যান্সেট গ্লোবাল হেলথ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর বুলেটিনে প্রকাশ ১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব পাঁচ বয়সের শিশু মৃত্যুহার কমেছে ৬৫ শতাংশ, যা প্রতি ১০০০ জীবিত জন্মগ্রহণে ১৫১টি মৃত্যু থেকে কমে ৫৩টি হয়েছে, যেখানে ১৫-২৪ বছর বয়সী সাক্ষর নারীর সংখ্যা ৩৮ শতাংশ থেকে উন্নীত হয়ে ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সেই সাথে মাতৃ মৃত্যুহার ব্যাপক হারে কমেছে ৬৬ শতাংশ, প্রতি ১,০০,০০০ জন জীবিত জন্মগ্রহণে যা ছিলো ৫৭৪ জন তা কমে হয়েছে ১৯৪ জন।
এই সাফল্যের পেছনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগ
আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রধানতম উদ্যোগগুলো — মাতৃ ও শিশু মৃত্যহার কমানো, যেমন টিকাদান, ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপী এবং পরিবার পরিকল্পনা এই ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
"উদাহরণ স্বরূপ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (EPI) অনূর্ধ্ব পাঁচ বয়সীদের মৃত্যুহার কমানোতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে", এই সিরিজের মতে।
"এই কৌশল এমনকি সবচেয়ে অনগ্রসর জনগণকেও সুবিধা দিয়েছে, শিশু এবং মাতৃ মৃত্যুহার কমাতে এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে", সমীক্ষা সিরিজটির মতে।
নারী ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে আরো যেসব প্রভাবক কাজ করেছে তা হচ্ছে, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং লৈঙ্গিক সমতা আনয়ন।
অন্য নয়টি স্বল্প ও মধ্যম আয়ের প্রথম সারির দেশগুলো হচ্ছে, ক্যাম্বোডিয়া, চীন, মিশর, ইথিওপিয়া, লাও পিডিআর, নেপাল, পেরু, রুয়ান্ডা এবং ভিয়েতনাম।
এই সিরিজটি যৌথভাবে মাতৃ, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ, অ্যালায়েন্স ফর হেলথ পলিসি অ্যান্ড সিস্টেমস রিসার্চ, জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, দ্য লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সহযোগিতায় তৈরি।