470
Published on সেপ্টেম্বর 17, 2014দিবসটির প্রাক্কালে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদিনে আমাদের জাতি একটি মাইলফলকে উপনীত হয়। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি আজ গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা। তাঁর কারিসম্যাটিক রাষ্ট্রনায়কত্বের ফলেই বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬তম দেশ হিসেবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের কথাও স্মরণ করেন। এই ভাষণে বঙ্গবন্ধু জাতির পক্ষ থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, নিরস্ত্রীকরণ এবং উন্নয়নের ব্যাপারে আপোসহীনতার কথা তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ৪০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত পররাষ্ট্র নীতির মূল প্রতিপাদ্য ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তি, সহিষ্ণুতা, উন্নয়ন ও সহযোগিতার এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৪ দশকে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে গতিশীল অংশীদারিত্ব সৃষ্টি হয়েছে। শান্তিরক্ষা, মানবাধিকার ও সহিষ্ণুতা, এমডিজি ও ২০১৫-পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন, জলবায়ূ পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভিবাসন ও উন্নয়নসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকা-ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী হিসেবে বাংলাদেশ শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি পেয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেছে, দু’বার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদের সদস্য ছিলো, ৮ বার ইকোসকের সদস্য ছিলো এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কমিশন ও নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের চেয়ারম্যান ছিলো। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। আমার তিন মেয়াদে রেকর্ডসংখ্যক মহিলা পুলিশসহ ১ লাখ ২০ হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অবদান রেখেছে।
তিনি বলেন, এসব অবদানের জন্য আমরা এমডিজি এ্যাওয়ার্ড-২০১০, সাউথ-সাউথ এ্যাওয়াড-২০১১ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ২০১৩ সালে পুরস্কার অর্জন করি।
-বাসস