499
Published on সেপ্টেম্বর 9, 2014অনুমোদিত প্রকল্পের ৪ টির প্রাক্কলিত মোট অর্থের মধ্যে জিওবি ১ হাজার ৭৩৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
একনেক সভায় ‘চট্রগ্রাম জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ সিস্টেম উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। ১ হাজার ৯৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে জিওবি ১ হাজার ৬৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৮ মেয়াদে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে। এ প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনার লক্ষে চট্রগ্রাম জোনের বিদ্যমান দুর্বল বিতরণ অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্তমানের ৬ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের সাথে ৫ লাখ নতুন গ্রাহক যুক্ত হবে। এ অঞ্চলে এখনকার বিদ্যুৎ এর চাহিদা ৮০২ মেগাওয়াট। এ প্রকল্পের আওতায় নতুন ২৩১০ কি.মি. বিতরণ লাইন নির্মিত হলে মোট ১৫২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যাবে।
‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প(কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও চাঁদপুর)’ শীর্ষক ৫৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকার অপর একটি প্রকল্প আজ একনেকে অনুমোদিত হয়। সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও চাঁদপুর জেলায় পল্লী অবকাঠামো অপ্রতুল হওয়ায় এ অঞ্চলে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি নির্বাচন করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
সমন্বিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ” শীর্ষক সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৭৩ কোটি টাকার অপর একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া, “নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন পুরাতন ফেরীঘাট সংলগ্ন চিত্রা নদীর উপর ১৪০ মিটার ব্রীজ এবং ১৪০ মিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ” শীর্ষক ৩৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) জুলাই ২০১৪ হতে জুন ২০১৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
একনেক সভায় ‘আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত দ্বৈত রেল লাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেল লাইনের মান্নোয়ন’ শীর্ষক ৫ হাজার ৮৩৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্পটি উত্থাপিত হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটিতে প্রস্তাবিত রেললাইনটি মিটার গেজের পরিবর্তে ডুয়েল গেজে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী রেল মন্ত্রণালয়কে নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসার জন্য দুই সপ্তাহের সময়ও বেঁধে দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে রেললাইন ডুয়েল গেজে রূপান্তরের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এখন থেকে কোন রেললাইন আর মিটারগেজে তৈরি করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী এ সময় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ শুরুর তাগিদ দেন।এ প্রকল্পটিতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(এডিবি) এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) প্রকল্প সাহায্য হিসেবে অর্থায়ন করার কথা ছিল।
একনেক সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ. মান্নান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
-বাসস