480
Published on সেপ্টেম্বর 6, 2014আজ সন্ধ্যায় এখানে হোটেল সোনারগাঁয়ে সফররত জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ও মাদাম আকিয়ে অ্যাবের সম্মানে দেয়া এক ভোজসভায় তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ব্যাপকভিত্তিক অংশীদারিত্বের আলোকে আমরা এর পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের অপেক্ষা রয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাপানী বিনিয়োগকারীদের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। যাতে করে তারা সহজে তাদের শিল্প স্থানান্তর বা শুরু করতে পারেন।
তিনি ঢাকা সফরকালে অ্যাবের সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাপানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিদ্যমান শিল্প-বান্ধব পরিবেশ, বাণিজ্যিক সুবিধা, প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ ও প্রণোদনা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে ও মাদাম অ্যাবে ও প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন এবং তাঁর জাপান সফরের পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের জন্য তাদের আন্তরিক প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে জাপানের জনগণ ও সরকারের দেয়া দৃঢ় সমর্থন ও সহানুভূতির কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মধ্যদিয়ে সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি আমাদের জাতীয় অনুভূতি প্রতিফলিত হয়। সেই থেকে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী অ্যাবের সঙ্গে খুবই আন্তরিক ও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এ সময় দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরো সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে অ্যাবে গত কয়েক বছরের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছেন। বর্তমান সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রূপকল্প-২০২১-কে সামনে রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের এ অগ্রযাত্রায় অতীতের ন্যয় বিশ্বস্ত ও সক্রিয় অংশীদার হিসেবে জাপানকে পাশে পাবো।
ভোজসভার পর বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)