803
Published on আগস্ট 28, 2014বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রপ্তানি বাড়াতে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের মানুষের চাহিদা খোঁজ করে সে অনুযায়ী নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
এক্ষেত্রে বিভিন্ন আঞ্চলিক জোটগুলোর সঙ্গে সর্ম্পক বৃদ্ধিরও পরামর্শ দেন তিনি।
রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের ভ্যালু অ্যাড করে রপ্তানি ও বাজারজাতকরণের ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।
অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও শ্রমঘণ শিল্পের ওপর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
বাণিজ্যের দ্বার যত উম্মুক্ত হবে তত দেশের জন্য লাভ হবে মন্তব্য কওে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে বর্ডার হাট চালুর সুফল পাচ্ছি। এটি আরো সম্প্রসারণ করতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক ভালো। সেখানেও বর্ডার হাট চালু করা যেতে পারে।
অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার পাশাপাশি ক্রয় ক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের ঈদ তার প্রমাণ, যোগ করেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত কওে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির কথা বলবেন, আবার নিজের বাজারে শুক্ল মুক্ত পণ্য প্রবেশ করতে দিবেন না। কেন এ দ্বৈত নীতি।
আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রপ্তানিযোগ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে নদী বক্ষে জেগে ওঠা চরগুলোতে পশু পালন এবং সামুদ্রিক মাছ সংগ্রহের ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি আরব ব্রাজিল থেকে হালাল মাংস কিনে। আমাদেও বিশাল চর আছে। আমরা এগুলোকে আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্র সীমায় আমাদেও অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। এ সমুদ্র সীমা পেয়ে আমরা মাছের আড়ৎ পেয়েছি। এখান থেকে দ্রুত মাছ শিকার করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশে ৭ ভাগের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি ছিলো যেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আজকে সবাই মালেশিয়া সিঙ্গাপুরের কথা বলি। বঙ্গবন্ধু যদি আর কয়েকটা বছর সময় হাতে পেতেন। তবে বাংলাদেশই হতো একটা দৃষ্টান্ত।
খাদ্য পণ্যে ক্ষতিকার রাসায়নিক উপাদান মিশানোর বিষয়ে কঠোর হতে সংশ্লিষ্টদেও নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য পণ্যে এমন কিছু যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
খাদ্য পণ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিসর আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যহত আছে। এটি অব্যহত থাকতে হবে।
ফরমালিন ব্যবহারের মাত্রা বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে তারা ফরমালিন নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করে। কিন্তু আমাদেও এখানে সেটা মানা হয় না। বাঙ্গালিরা হুজুগে তাই অতি মাত্রায় ফরমালিন ব্যবহার করে ফেলে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলা নিউজ 24
ছবিঃ ইয়াসিন কবির জয়