478
Published on আগস্ট 23, 2014তিনি বলেন, শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশের আরো পানির প্রয়োজন হওয়ায় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি খুব শিগগির হওয়া উচিত।
আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ সফরকারি ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) ভি কে সিং-এর নেতৃত্বাধীন সেদেশের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি একেএম শামীম চৌধুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন এবং সীমানা চুক্তিসহ সকল বিষয় খুব শিগগির সমাধানের স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা ট্রানজিট সম্পর্কে ভারতের উপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ভারতের মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমরা আপনাদের কাছ থেকে ট্রানজিট চাই এবং এজন্য আমরা ইতোমধ্যেই আপনাদেরকে সুবিধা দিয়েছি।
জবাবে ভারতের প্রতিমন্ত্রী সিং বলেন, আমরা ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিতে সম্মত আছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, হ্যাঁ আপনারা এই সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেলপথও নির্মাণ করতে হবে।
তিনি প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান ওয়াটার প্রটোকল আরো শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় নৌ-পরিবহন সচিব পর্যায়ে বৈঠকে এই বিষয়টি আলোচনা হতে পারে।
ভারতের মন্ত্রী আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর দিয়ে তার দেশে চাল পরিবহনের অনুমতি দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত সরকার আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করে দেবে। তিনি বলেন, আমরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। তিনি বলেন, সীমান্ত হাট দু’দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করেছে।
ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে ভি কে সিং বলেন, তার দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসতে আগ্রহী এবং যে কোন সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিশেষ করে সেদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মুকুল সাগমা, ত্রিপুরার শিল্পমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মেঘালয়ের পার্লামেন্ট সেক্রেটারি কেনেডি খায়রিম, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শ্যারন এবং বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাতলুব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)