431
Published on আগস্ট 20, 2014একটি শান্তিপূর্ণ নিরাপদ স্বদেশ ও সন্ত্রাসমুক্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে একুশে আগস্টের শহিদদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “২০০৪ সালের এই দিনে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জঙ্গি তৎপরতা বিরোধী সমাবেশে বর্বরোতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়”।
সেদিনের ঘটনার বর্ননা দিয়ে তিনি বলেন, “চারিদিকে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছে। এর মধ্যেও আমাদের নেতা-কর্মীরা মানববর্ম সৃষ্টি করে সেদিন আমাকে রক্ষা করে। আল্লাহতায়া’লার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। তবে খুনিদের হামলার শিকার হয়ে শাহাদত বরণ করেন আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ আমাদের ২৪ জন নেতা-কর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী।
তাঁদের অনেকেই আজও পঙ্গুত্বের অভিশাপ বহন করছেন। অনেকে দেহে স্প্রিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বলে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেন।
বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য কখনও চাপা থাকে না। তাই আজ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বিএনপি-জামাত জোটের অনেক কুশীলব এই হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। কোন ভবনে বসে কারা এই হামলার নীলনকশা তৈরি করেছিল তা স্পষ্ট হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,এ ধরনের নারকীয় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার করা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। হামলাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়। অনেক আলামত ধ্বংস করে। তদন্তের নামে এই নারকীয় ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে।
একুশে আগস্টের সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশা করেন আগস্টের হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং তাদের মদদদাতাদের সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে দেশ থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের চির অবসান হবে। আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)