834
Published on আগস্ট 19, 2014এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জমির ক্ষয়রোধ, খাদ্য নিরাপত্তা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।
আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক’এর বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ৭ বিভাগের ৭টি উপজেলায় গ্রোথ সেন্টারে চারতলাবিশিষ্ট আকারে এই ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক জনপদ বা গ্রামে ২৭২ জন বসবাস করতে পারবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সফলতার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে প্রকল্প আরো সম্প্রসারণ করা হবে।
এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের আওতায় চারটি ক্যাটাগরিতে ভবন নির্মাণ করা হবে। ফ্লোর প্ল্যানগুলো হলো-টাইপ এ-তে ফ্ল্যাটের আকার হবে ৯১৫ বর্গ ফুট, টাইপ বি-তে ৭১০ বর্গফুট, টাইপ সি-তে ৪৬০ বর্গফুট এবং ফ্ল্যাট ডি-তে ৩৬৫ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের মূল্য ১৬০৩ টাকা।
প্রকল্প এলাকা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে যে সব এলাকার জনগোষ্ঠী দেশের বাইরে থাকে এবং রেমিটেন্স বেশি আসে এমন এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৭০ শতাংশ সরকার এবং বাকী ৩০ শতাংশ বহন করবে সুবিধাভোগীরা। ফ্ল্যাট মালিকরা ১৫ বছরে সরকারকে ৫ শতাংশ সুদহারে ঋণের টাকা পরিশোধ করবে। এই হিসেবে সরকার প্রকল্পের জন্য ৩৬২ কোটি ৯৮ লাখ এবং সুবিধাভোগীরা ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় করবে।
একনেক সভায় আজ পল্লী জনপদসহ মোট ৮২৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক সভায় পাস হওয়া মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৫২০ কোটি ৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে আসবে। ৮৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা আসবে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে। আর বাকী ২২২ কোটি ৪১ লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহাস্য হিসেবে।’
পল্লী জনপদ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুন, ২০১৭। বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ হচ্ছে-সেন্টার ফর ইরিগেশন এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিআইডব্লিউএম), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এবং সমবায় বিভাগ।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হলো-৪তলা বিশিষ্ট ৭টি ভবন এবং গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী পালনসহ কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত ৩ তলা বিশিষ্ট ৭টি ভবন নির্মাণ। সৌর প্যানেল স্থাপন ও নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ আধার নির্মাণ। অগ্নি নির্বাপকের সুযোগ এবং পরিবেশ উন্নয়নে জলাধার নির্মাণ। বায়োগ্যস প্লান্ট নির্মাণ এবং এই প্ল্যান্ট হতে উৎকৃষ্টমানের জৈবসার উৎপাদন ও বিপনন।
সভায় পাস হওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো, ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রসারিত কটন চাষ প্রকল্প। এর বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত।
এ প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের ১০ জেলার ৩৫ উপজেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে প্রতিবছর দেশে ৭ থেকে ১০ লাখ বেল কটন বেশি উৎপাদন হবে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয় সূত্র জানায়, প্রতিবছর ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ থেকে ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন বেল কটন আমদানি করতে হয়।
একনেক সভায় পাস হওয়া আর একটি প্রকল্প হলো-সিদ্ধিরগঞ্জ-মানিকনগর ২৩০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন প্রকল্প। মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৩৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকার বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা দেবে ২২২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
সভায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ,পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)