501
Published on আগস্ট 11, 2014প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রস্তাবের নাম হচ্ছে ‘ইন্টার গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট অন ড্রাই পোর্ট’। এটি হচ্ছে জাতিসংঘ এস্কাপ প্রণীত গাইডিং প্রিন্সিপালের আওতায় দেশের স্থল বন্দরগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করার কার্যপত্র।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৯ সালে ‘ইকোনমিক এন্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড প্যাসিফিকের (ইএসসিএপি-এস্কাপ) সঙ্গে এশিয়ার পরিবহন মন্ত্রীদের এক বৈঠকে এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্ক এবং ট্রান্স-এশিয়া রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এই অঞ্চলের সব স্থল বন্দর উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এ লক্ষ্যে এস্কাপ ২০১৩ সালে এই চুক্তির খসড়া অনুমোদন করে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যাংককে ২০১৩ সালের ৪ থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে ১৫টি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না থাকায় ওই সময় বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেনি।
এখন বাংলাদেশ জাতিসংঘ সদর দফতরে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। চুক্তিটি আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে এবং এর মাধ্যমে বন্দর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পাওয়াও সহজ হবে।
তিনি বলেন, এ চুক্তির আওতায় আখাউড়া, বিবির বাজার, হিলি, সোনা মসজিদ, বাংলাবন্দ, বিলোনিয়া, তামাবিল, বেনাপোল, বুড়ীমারী, টেকনাফ, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন হবে।
এস্কাপের গাইড লাইন অনুসারে স্থলবন্দরগুলোর কর্মকা- সহজতর করতে অবকাঠামো, ওয়্যার হাউস সুবিধা, ট্রান্সশিপমেন্ট এবং তদারকি ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিচালনা কাঠামো উন্নত করা হবে।
মন্ত্রীবর্গ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)