479
Published on আগস্ট 5, 2014তিনি বলেন, ‘দেশ ও জনগণের কল্যাণে আমাদের সরকার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি আশা করি জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আরো সহায়তা দেবে।’
জাপান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য মিকি ওয়াতানাবে আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, অন্যতম প্রধান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে জাপান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
একজন সফল উদ্যোক্তা ও শিক্ষানুরাগী ওয়াতানাবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা স্মরণ করেন এবং এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর টোকিও সফরকে খুবই সফল ও ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, এর ফলে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরো সংহত হবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের জনগণ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো এ্যাবে’কে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ওয়াতানাবে বলেন, জাপানের জনগণ বাংলাদেশের জনগণকে খুবই পছন্দ করে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণও জাপানের জনগণকে খুব ভালবাসে।
ওয়াতানাবে গতকাল সোমবার গাজীপুরের পুবাইলে একটি স্কুল চালু করেছেন। শিক্ষার বিস্তারে তিনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে আরো স্কুল খোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণদানে বাংলাদেশে একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে বলে তাকে আশ্বাস দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এবং ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বের ১১টি দেশে ওয়াতানাবে ৭৫০টি চেইন রেস্টুরেন্ট স্থাপন করেছেন। এছাড়া তিনি জাপানে ১১০টি বৃদ্ধা আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন।
-বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)