503
Published on আগস্ট 4, 2014প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বৈঠক সম্পর্কে ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া প্রণয়নের জন্য এর আগে তথ্য সচিবের নেতৃত্বে গণমাধ্যম, এনজিও এবং অন্যান্য পেশার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা খসড়া চূড়ান্ত করে।
তিনি আরো বলেন, পরে মূল কমিটিকে একটি রিপোর্ট দিতে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভূঁইয়া বলেন, তথ্য মন্ত্রণধলয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এ ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে। কমিটি চূড়ান্ত করার আগে এটি পর্যালোচনা এবং তাদের সুপারিশমালা পেশ করা হয়।
ভূঁইয়া বলেন, একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নীতিমালা কার্যকর করা হবে। এটি সরকারি ও বেসরকারি প্রচার মাধ্যমের জন্য প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, এটি একটি নিরপেক্ষ সম্প্রচার কমিশনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
সচিব আরো বলেন, খুব শিগগির একটি বিধিবদ্ধ কমিটি গঠন করা হবে এবং কমিটি প্রচার মাধ্যমের লাইসেন্স ইস্যু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা গণমাধ্যম ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি সার্স-কমিটির মাধ্যমে মনোনীত হবেন।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ কমিশন নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রুলস এন্ড রেগুলেশন প্রণয়ন করবে। নিরপেক্ষ কমিশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয় এই নীতি বাস্তবায়ন করবে।
এই নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা দেশের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং উন্নয়ন সংবাদ পরিবেশন করা। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের মতো জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করা।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিতে জাতীয় স্বার্থ ও উদ্দেশ্য ক্ষুন্ন হয়, জনগণকে অবজ্ঞা করা এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট করে এমন কোন অনুষ্ঠান সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বর্ণ, গোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং দেশে কোন ধরনের গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে না। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রকাশ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ক্ষুন্ন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ক্ষুন্ন হতে পারে এমন কোন সংবাদ অথবা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে না।
কোন দেশের পক্ষে সংবাদ অথবা অনুষ্ঠান প্রচারে অন্য দেশের ক্ষতি হতে পারে যাতে বন্ধুপ্রতীম দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিনষ্ট হতে পারে, এমন কোন সংবাদ অথবা অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করা যাবে না।
কোন সংবাদে বিদ্রোহ এবং সহিংস ঘটনাকে আরো উস্কে দেয়া হবে, এমন সংবাদও পরিবেশন করা যাবে না।
সশস্ত্র বাহিনী এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপহাসের পাত্র হিসেবে গণ্য করা হতে পারে, এমন কোন সংবাদ অথবা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে না।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্পর্কিত ২০১৪’র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্ট বৈঠকে উপস্থাপিত হয়েছে।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ১২ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সুইডেন, ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ড সফর সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এছাড়া এতে ১৬ ও ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ‘আমাদের সমুদ্র’ শীর্ষক সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং একই সময় সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘মিনিস্ট্রিয়াল ফোরাম অন আইসিটি’ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের যোগদান বিষয়ও অবহিত করা হয়।
মন্ত্রীবর্গ ও মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।