501
Published on আগস্ট 3, 2014১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ জাতীয় কৃষক লীগের রক্তদান কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন বড় বড় জায়গার চক্রান্তের মোকাবেলা করছে। চক্রান্ত কারীরা জাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত হয়েছি, কিন্তু ভেঙ্গে পড়িনি। তাই আমরা জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে যাই। দিনের পর দিন সে জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ও ডা. দীপু মনি এবং দলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাকও বক্তৃতা করেন।
কৃষক লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা এবং সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলমও বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৃত্যুকে তিনি ভয় করেন না। তাঁর একমাত্র প্রত্যাশা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাসভবনের প্রতি ষড়যন্ত্রকারীদের আক্রোশ ছিল। কেননা, এই বাসভবনই বাঙালি জাতির মুক্তির সকল আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তিনি বলেন, যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই বাড়িতেই ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে হত্যা করে। এই বাড়ি থেকেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে আটক করে এবং ৯ মাস ধরে এই বাড়িতে লুণ্ঠন চালায়। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর খুনীরা এই বাড়িতে আমাদেরকে মিলাদ পড়তেও দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্টে শহীদদের মধ্যে কেউ মুক্তিযোদ্ধা, কেউ শিশু এবং কেউ নারী ছিলেন। খুনীরা দম্ভের সঙ্গে এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান খুনীদেরকে দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত এবং চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সূচিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও স্থগিত করে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলাদেশের জনগণ বিপুল ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের জন্য হাজার হাজার মানুষ তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা হচ্ছে একটি সুখি ও সমৃদ্ধ দেশ গঠন। এ জন্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। তাই আমরা কখনোই আমাদের এই লক্ষ্য থেকে বিচ্যূৎ হবো না।
বঙ্গবন্ধুর উক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোন অর্জনের জন্য বড় আত্মত্যাগ প্রয়োজন। তাই যে কোন ত্যাগ স্বীকারের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।