508
Published on জুন 30, 2014বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ দেশের প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত তারল্য, ক্লাসিফাইড ঋণ হ্রাস এবং স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় মূল্য ও কলমানি রেট স্থিতিশীল থাকায় ব্যাংকিং সেক্টর ও অর্থবাজার স্থিতিশীল রয়েছে।
২০১৪ অর্থবছর শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএমই) মূল্য সূচক সামান্য বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছর জুড়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শেয়ার মূল্য উঠানামা করলেও বছর শেষে সূচক কিছুটা হলেও বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৩০ জুন রিজার্ভ ছিল ১৫.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে ২৮ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরে জুন থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে ১২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুন রেমিট্যান্স ছিল ১৪.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছরের জুনের শেষ দিনে রেমিট্যান্স আরো বেশি হবে। পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবে। মে মাসে রফতানি আয় বেড়েছে। গত বছরের মে মাসের চেয়ে এ বছরের মে মাসে রফতানি আয় ১২ শতাংশ বেশি হয়েছে।
বিগত অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছিল ২৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় ২৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান সূচক মূল্যস্ফীতি ছিল নিম্নমুখী। গড়ে মাসিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭.৪৪ শতাংশ। গত মে মাসে ছিল ৭.৪৮ শতাংশ। ২০১৩ সালের জুনে ছিল ৬.৫৭ শতাংশ এবং ৭.৯৮ শতাংশ।
ব্যাংক সেক্টরে ক্লাসিফাইড লোন হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১০.৪৫ শতাংশ। ২০১৩ সালের জুনে ছিল ১২ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ছিল শক্তিশালী অবস্থানে।
গত ২৪ জন মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৭৭.৬৩ টাকা। এ দিনে গড়ে কলমানি রেট ছিল ৬.১৮ শতাংশ।
দেশের পুঁজিবাজার ছিল স্থিতিশীল। ৩০ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ছিল ৪৪৮০.৫২ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের এদিকে ছিল ৪১০৪.৬৪ পয়েন্ট। ৩৭৫.৫৫ পয়েন্ট অথবা ৯.১৪ শতাংশ বেশি।