426
Published on জুন 24, 2014মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডাক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পগুলোতে সরকারি অর্থায়ন ৪২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এই তিনটি প্রকল্পই নতুন। এর মধ্যে একটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ও বাকি দুইটি সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।
বহদ্দারহাট বারইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম শহরে বর্ষার পানি দ্রুত অপসারণের জন্য খাল পুর্নখনন এবং কিছু নতুন খাল খনন করা হবে।
এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ২.৯ কি. মি. দৈর্ঘ্য ও ৬৫ ফুট প্রস্থ খাল খনন করা হবে। এছাড়া খালের উভয় পাশে ২০ ফুট প্রস্থের রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে যান চলাচলসহ খালটি সহজে পরিস্কার এবং আশেপাশের যানজট দূর করা যায়।
এছাড়া একনেক সভায় “কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ” শীর্ষক প্রকল্পটি পাস হয়। ৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জানুয়ারি ২০১৪ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির ফলে মংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে মংলা বন্দরের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা ছিল ৯৫ যা ২০১২-১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৫-এ দাঁড়িয়েছে।
এদিকে পাগলা-জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ-আউশকান্দি মহাসড়কের রাণীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্পটিও পাস হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে (জিওবি) সড়ক ও জনপথ অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।