498
Published on জুন 21, 2014জয় বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশের আইসিটি খাত থেকে ১০০ কোটি ডলার রফতানি আয় করা সম্ভব।
রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইসিটি খাতে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় মাঠ পর্যায়ের আইসিটি উদ্যোক্তা ফ্রিল্যান্সার, সরকারি কর্মকর্তা ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সরকার গৃহীত আইসিটি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতির বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এনাম আহমেদ, বেসিসের সভাপতি শামীম আহমেদ, এটুআই প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার।
সজীব ওয়াজেদ জয় আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পকে ছাড়িয়ে যাবে আইসিটি খাত।
জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা থার্ড জেনারেশন (থ্রিজি) ইন্টারনেট সেবা চালু করেছি। শিগগিরই ফোর্থ জেনারেশন (ফোর জি) সেবা চালু করবো।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, সরকারের আরো পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি গ্রামে তথ্যসেবা কেন্দ্র করা এবং আরো বেশি ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা যেখান থেকে মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দেয়া যাবে।
আইসিটি খাতে দক্ষ জনশক্তির উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফ্রিল্যান্সার (সেলফএমপ্লোয়েড পারসন)দের জন্য প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, বর্তমানে পাঁচ লাখ ফ্রিল্যান্সার আইসিটি খাতে কাজ করছেন। এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, জামানত ছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের কিভাবে ঋণ দেয়া যায়, তা নিয়ে আমি বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করবো।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভিডিও কল সেন্টার প্রযুক্তির যুক্ত করে সবগুলো ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রকে আধুনিকায়ণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো থেকে ৭০ ধরনের সেবা গ্রহণ করছেন।
তিনি যুব সমাজের প্রতি উপদেষ্ট দিয়ে বলেন, আপনারা আইটিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে রেমিটেন্স বাড়ান এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করুন।