576
Published on জুন 17, 2014মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এক অনুষ্ঠানে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির চেয়ারম্যান লিউ জিমিং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তি সইয়ের পর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে এ চুক্তি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম হলো। খুব শিগগিরই স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান বাস্তবতায় দেখা যাবে। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শেষের দৃঢ় আশাবাদও প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১২ হাজার ১৩২ কোটি টাকায় পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে চীনের এ কোম্পানিকে ২ জুন কার্যাদেশ দিয়েছিল সরকার। পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনলেও দরপ্রস্তাব জমা দিয়েছিল একমাত্র চীনের কোম্পানিটি।
২৬ জুন চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বানের পর মূল সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। চায়না মেজর ব্রিজ ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম দরপ্রস্তাব করে। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বর্তমান অঙ্ক তার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২২ মে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে চীনা কোম্পানির দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।