428
Published on জুন 17, 2014রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত ১১ মাসে ২ হাজার ৭৪৩ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলার।
ইপিবি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রপ্তানিতে গার্মেন্টস খাতের প্রাধান্য ক্রমাগত বাড়ছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে মোট রপ্তানির ৭৯ শতাংশ গার্মেন্টস খাতের দখলে থাকলেও চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে তা ৮১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, রপ্তানি তালিকায় তৈরি পোশাকের আধিপত্য অব্যাহত আছে। নিট ও ওভেন মিলে এ খাতের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দুই হাজার ২১৭ কোটি ডলার। দুই খাত মিলে গড় প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের মতো। এর মধ্যে নিটের একক প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশ। আয় হয়েছে এক হাজার ৯১ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। তবে ওভেনের আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হয়েছে দশমিক ৪৩ শতাংশ। রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ১২৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
রফতানি খাতের উল্লেখযোগ্য পণ্যের মধ্যে হিমায়িত খাদ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ দশমিক ১৯ শতাংশ। মোট আয় হয়েছে ৫৮ কোটি ডলার। পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এ খাতের গড় প্রবৃদ্ধি কমেছে ২০ শতাংশ। অন্যদিকে চা, চামড়া, চামড়াজাত পণ্যের আয় বেড়েছে। চামড়ার রপ্তানি বেড়েছে ২৯ শতাংশ; চামড়াপণ্যের ৬০ শতাংশ। রাবারের ৩১ শতাংশ, ওষুধের ১৭ শতাংশ। অন্যদিকে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার তালিকায় আছে টেরিটাওয়েল, প্রসাধনী, প্লাস্টিক পণ্য।