শিল্প-বানিজ্যে সহযোগিতা জোরদার করবে বাংলাদেশ -কম্বোডিয়া

532

Published on জুন 17, 2014
  • Details Image

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কম্বোডিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক সাংবাদিকদের এ বিষয় ব্রিফিং করেন।

তারা বলেন, উষ্ণ ও আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা অর্জনের অভিজ্ঞতা একই ধরনের।

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা এবং হুন সেন মুক্তি সংগ্রামের একই অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, উভয় দেশের জনগণ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে, দুঃখযাতনা ভোগ করেছে এবং যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।

প্রেস সচিব এবং পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া এলডিসিভুক্ত দেশ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দেশ দু’টি অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে।

তারা বলেন, আলোচনায় প্রধানত ৩টি প্রধান বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। এগুলো হলো বাণিজ্য, কৃষি এবং সংস্কৃতি। তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

তারা বলেন, গঙ্গা-মেকং অববাহিকায় অবস্থানের দুই দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে গভীর মিল রয়েছে।

তারা বলেন, এ অবস্থায় শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার এবং গঙ্গা-মেকংকে কেন্দ্র করে পর্যটন জোরদারের সুযোগ রয়েছে। ভারতসহ মেকং অববাহিকার অপর ৫টি দেশ নিয়ে ৬টি দেশের সহযোগিতা জোট রয়েছে।

ঢাকা যাতে ওই গ্রুপে যোগ দিতে পারে এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী-কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর জবাবে হুন সেন বলেন, ঢাকা ওই গ্রুপে যোগ দিতে চায় এতে তিনি আগ্রহবোধ করছেন এবং তিনি শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন যে, এ বিষয়ে তিনি কাজ করবেন।

তারা বলেন, দু’পক্ষ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সনাক্তকরণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান সহযোগিতা সমন্বয় ও গভীরতর করতে একটি যৌথ কমিশন গঠনে সম্মত হয়েছে।

দু’পক্ষ দু'দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের নেতৃত্বে একটি যৌথ বাণিজ্য কাউন্সিল গঠনেও একমত হয়েছে। তারা বলেন, ২০১৫ সালে কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের একটি একক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এসোসিয়েশন অব সাউথ এশিয়ান ন্যাশন্স (আশিয়ান)-এর ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের আবেদনের প্রতি তার সমর্থনের আশ্বাস দেন। তারা বলেন, কম্বোডিয়া একটি সফল আশিয়ান দেশ। এ আঞ্চলিক সংস্থাটিকে নেতৃত্ব দানের ব্যাপারে হুনসেনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশ নিয়ে গঠিত আশিয়ান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে আশিয়ানে যোগ দিতে পারলে বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারবে এবং এতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি আরও জোরদার হবে।

এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। আনুষ্ঠানিক আলোচনায় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত