522
Published on জুন 16, 2014এ লক্ষে সোমবার ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বাংলাদেশে জাইকা প্রধান মাইকিও হাতাওদা ঋণ চুক্তিসমূহে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি হওয়া ৫ প্রকল্প হচ্ছে- ৩ হাজার ১৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবারী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, এক হাজার ৭৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস সক্ষমতা প্রকল্প, ২ হাজার ৩৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইনক্লুসিভ সিটি গভার্নেন্স প্রকল্প, এক হাজার ১৬০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হাওড় বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৭৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রকল্প। বার্ষিক শুন্য দশমিক শুন্য শতাংশ সুদহারে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে পরিশোধযোগ্য।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত আকিহিকো মিনামী, জাইকা প্রেসিডেন্ট ড. আকিহিকো তানাকা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকদিন আগে চীন ও জাপান সফর করেছেন। এর মাধ্যমে এ সব দেশের সাথে বাংলাদেশের সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সামনে অগ্রসর হতে আমরা নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সম্ভবনাময় দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। এখানে বড় বাজার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ক্ষেত্রে এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প আজ চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা সর্বাত্বক প্রচেস্টা অব্যাহত রাখবো। আগামী ৪ বছরের মধ্যে প্রকল্প কাজ শেষ করতে তিনি জাইকার সহযোগিতা চান।