511
Published on জুন 15, 2014প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় এই বাহিনীর সদস্যরা তাদের দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে খুবই দক্ষভাবে পালন করছেন। তিনি জনগণের সঙ্গে কোন রকম দূরত্ব সৃষ্টি ছাড়া ভিভিআইপিদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে এসএসএফ’র ২৮তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে এই বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণকালে বলেন, কোন দূরত্ব সৃষ্টি নয়, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে ভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা আশঅবাদ ব্যক্ত করেন যে, এসএসএফ সদস্যরা ভবিষ্যতে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ আনুগত্য ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করবেন। তিনি এই বাহিনীর অব্যাহত আধুনিকায়নের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও অন্যান্য ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স (পিএসএফ) গঠিত হয়। পরে এর নামকরণ হয় এসএসএফ। সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্য নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়।
এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মাদ আমান হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আনসার মহাপরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এসএসএফ’র উন্নয়নে তাঁর সরকারের নেয়া ব্যবস্থার উল্লেখ করে বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তাঁর সরকার একটি আধুনিক ফায়ারিং রেঞ্জের পদক্ষেপ নিয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের জন্য আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে এসএসএফকে ইনসিগনিয়া (বিশেষ ব্যাজ) প্রদান করা হয়, যা এসএসএফকে একটি পূর্ণাঙ্গ বাহিনীতে উন্নীত করে এবং পর্যায়ক্রমে এই বাহিনীর জন্য অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। এ জন্য এসএসএফ সদস্যদের সতর্ক থাকতে হবে যেন তাদের ব্যবহারে কেবল দর্শনার্থী কষ্ট না পায়।
শেখ হাসিনা এসএসএফ’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই বাহিনীর সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী এসএসএফ সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে দুপুরে খাবারে অংশ নেন।