519
Published on জুন 15, 2014তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে যারা বেপরোয়াভাবে মানুষ হত্যা ও বৃক্ষ নিধন করেছে সেইসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করার দুঃসাহস আর কেউ দেখাতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগানোর জন্য কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি অন্তত ৩টি গাছ লাগানোর জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এর মধ্যে একটি ফলজ, একটি বনজ ও একটি ভেষজ গাছ হবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ প্রতিবছর বাংলা মাস আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পালন করে আসছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি, কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট রহমত আলী এমপি এবং কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজাও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ মোতাহার হোসেন মোল্লা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশ্বাস করে যে, বৃক্ষ মানবসভ্যতার বিকাশে অমূল্য অবদান রেখে যাচ্ছে। বৃক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করে এবং অক্সিজেন যোগায়। তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে আরো গাছ লাগানো প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পরিবেশ ও বৃক্ষবান্ধব। তার সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করার লক্ষ্যে সারাদেশে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সংরক্ষিত বন হিসেবে আরো এক লাখ ৭০ হাজার একর এলাকা নতুন বনভূমি ঘোষণা করেছে। তিনি দেশের উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার উল্লেখ করে বলেন, এই বেষ্টনী সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাস থেকে এলাকার লোকজনের জান-মাল রক্ষা করছে। তিনি বলেন, যাদের এক সময় গাছ কাটার জন্য দায়ী করা হতো তার সরকার তাদেরকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি জোরদার করেছে। তিনি বলেন, সরকারের পৃষ্টপোষকতার পর যারা এক সময় গাছ কাটতো তারা এখন বনের পরিচর্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার মাধ্যমে জনগণ এখন আরো বেশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। তিনি বলেন, সুবিধা লাভের অংশ ৩৫ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, গত বছর সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি থেকে লাভ হিসেবে কেবল একজন ব্যক্তি প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় করেছেন।
তিনি বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কেউ এমন লাভবান হয়নি, কারণ সরকার লুটপাটে ব্যস্ত ছিল।
নিজস্ব ভূমি, নদী তীর, চর এলাকা এবং পতিত জমিসহ সব জায়গায় গাছের চারার রোপণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসাধারণকে গাছ রোপণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের নিজস্ব এলাকায় গিয়ে গাছ রোপণ কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাফল্য তুলে ধরার জন্যও তাদের প্রতি আহ্বান জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কৃষকলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা বিতরণ করেন।