সহযোগিতার অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও চীনের মতৈক্য

478

Published on জুন 11, 2014
  • Details Image

 

দেশ দুইটি তাদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা, যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগযোগ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ও জলবায়ু ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াঙ -এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর ওইদিনই গৃহিত যৌথ ঘোষণায় এসব কথা বলা হয়েছে।

আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিং থেকে ঢাকায় ফেরার আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০ দফা সম্বলিত ঘোষণাটি প্রকাশ করে। ঘোষণার শিরোনাম হচ্ছে ‘জয়েন্ট স্টেটমেন্ট অন ডিপেনিং পার্টনারশীপ অব কোপারেশন বিটউইন বাংলাদেশ এ্যান্ড চায়না’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াঙ, প্রেসিডেন্ট জি জিনপিঙ এবং ‘পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স’- এর চেয়ারম্যান ইয়ু জেঙসেঙ- এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বেইজিং সফর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দুইটি চুক্তি, দুইটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি বিনিময়পত্র (এলওই) স্বাক্ষরিত হয়। যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশ তার ‘এক চীন’ নীতি পুর্নব্যাক্ত করে।

দুই দেশ উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের পাশাপাশি সরকারি কর্তৃপক্ষ, সংসদ, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, বেসরকারি পর্যায়ে এবং স্থানীয় সরকারসমূহের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে একমত হয়।

দুই পক্ষ নিয়মিতভাবে সচিব পর্যায়ে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক, উপআঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং পরবর্তি আলোচনা ২০১৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত হয়।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও চীন উভয়ই একমত যে, সার্বিক ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা গূরুত্বপূর্ন। সে কারণে দেশ দু’টি সমতার ভিত্তিতে পারস্পরিক লাভজনক ব্যবসা, বিনিয়োগ, অর্থ, কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যাতায়াত ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে একমত পোষণ করে।

এই দৃষ্টিকোন থেকে বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বৃহত্তর পরিসরে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিশাল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অসমতা নিরসনে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে একমত হয়।

যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, চীন সেদেশের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে পরস্পরের জন্য লাভজনক এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করে। এই দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, জ্বালানি, পরিবহন, অবকাঠামো ও শিল্পখাতে সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য চীন সেদেশের খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়টি প্রস্তাব করেছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব করে এবং চীনা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসব প্রকল্পে সহায়তার ব্যাপারে সম্মত হয়।

বাংলাদেশ চট্টগ্রামে চীনের ‘অর্থনৈতিক ও শিল্প এলাকা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকে স্বাগত জানায় এবং চীনা উদ্যোক্তাদের এধরনের আরও উদ্যোগে সহায়তার আশ্বাস দেয়।

বাংলাদেশ ও চীন উভয় দেশই নতুন জোট ‘বিআইসিএম- ইসি’- এর অগ্রযাত্রাকে স্বাগত জানায় এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব স্বীকার করে।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত