বাংলাদেশ চীনের কৌশলগত অংশীদারঃ শি জিনপিং

511

Published on জুন 10, 2014
  • Details Image

তিনি বলেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক একটি কৌশলগত সম্পর্ক এবং এ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় চীন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

আজ এখানে চীনা প্রেসিডেন্টের অফিস গ্রেট হল অব পিপল-এ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, শেখ হাসিনাকে চীনা জনগণের পূরনো বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ চীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী।

চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক আতিথেয়তা প্রদর্শন করেন এবং অফিসের করিডোর পর্যন্ত এগিয়ে এসে অভ্যর্থনা জানান।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর ওই সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আশা করেন, এই সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছাবে।

গণতন্ত্র প্রসঙ্গে জিনপিং বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের মডেল বিভিন্ন ধরনের। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কোনো স্ট্যান্ডার্ড মডেল নেই। যদি কেউ মনে করে এটি গণতন্ত্রের স্ট্যান্ডার্ড মডেল তাহলে সেটি সঠিক নয়।

প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্দিষ্ট কোনো দেশের পরিস্থিতি, চাহিদা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গণতন্ত্র বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে পাটজাত সামগ্রি আমদানি বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের কৃষিখাতের জন্য সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিশেষত বাংলাদেশের সাথে ‘অতি উচ্চ ফলনশীল’ জাতের ধানের প্রযুক্তি বিনিময়ে চীন প্রস্তুত। সংশ্লিষ্ট জাতের ক্ষেত্রে চীনের ‘প্যাটেন্ট’ অধিকার থাকায় সাধারনত দেশটি কারও সাথে এই প্রযুক্তি বিনিময় করে না।

চীনা প্রেসিডেন্ট কৃষি খাতে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ- চীন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উপর গূরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘রূপকল্প ২০২১’- এর প্রশংসা করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর দেশেরও একটি ‘রূপকল্প- ২০২০’ রয়েছে, যখন চীন একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেন, উভয় দেশই লক্ষ্য অর্জনে পরস্পরকে সহায়তা করতে পারে।

চীনের নতুন উদ্যোগ ‘সিল্ক রুট ইকোনমিক বেল্ট এ্যান্ড টোয়েন্টিফার্স্ট সেঞ্চুরী মেরিটাইম সিল্ক রুট’- এর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ভূমিকা গূরুত্বপূর্ণ। চীন থেকে শুরু হয়ে ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপর দিয়ে গিয়ে ‘রুট’টি আফ্রিকায় গিয়ে শেষ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উদ্যোগের জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে চীনা প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান।

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত