528
Published on জুন 10, 2014বাংলাদেশের পক্ষে আজ এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনেকশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সদর দপ্তর জেনেভায় আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিনিধির হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এএম মোর্শেদ। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্য দেশের মন্ত্রী, নীতি নির্ধারক, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়ন এবং মাত্র ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেয়া হয়। উল্লেখ্য, এই প্রথম বাংলাদেশের কোন উদ্যোগ ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির চূড়ান্ত পর্যায়ে পুরস্কৃত হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি প্রকল্প পুরস্কার তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য ওয়ার্ল্ড সামিট ফর ইনফরমেশন সোসাইটি কাজ করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সৃজনশীল উদ্ভাবনগুলো ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটির এ পুরস্কার বাংলাদেশকে যেমন অনুপ্রাণিত করবে তেমন এ দেশের বিভিন্ন উদ্যোগ, উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন কৌশল অন্য দেশে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে এবং ইউএনডিপি ও ইউএসএইড-এর কারিগরি সহাযতায় একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম জনগণের দোরগোড়ায় সেবা এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাগরিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রশাসনসহ জীবন ধারণের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ ই-সেবা সুবিধা পাচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ কোন না কোন ই-সেবা সুবিধা গ্রহণ করছে। সাধারণ মানুষ যাতে কম খরচে, কম সময়ে এবং বার বার সেবা প্রদানকারী অফিসে না গিয়ে সেবা নিতে পারে সেজন্য এটুআই প্রোগ্রামের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা বর্তমানে দেশে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পাওয়ার ফলে জনগণ যেমন স্বল্প মূল্যে, স্বল্প সময়ে ঝামেলামুক্ত উপায়ে সেবা পাচ্ছে তেমনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এসেছে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং গতিশীলতা। সেই সাথে মানুষের মধ্যে জনপ্রশাসন সম্পর্কে আস্থা ফিরে আসছে।