487
Published on জুন 9, 2014শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ চীনা নেতৃত্বাধীন 'এশিয়ান সেঞ্চুরি'তে সব সময় বন্ধুর মতো চীনের পাশে থাকবে। তিনি এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক যোগাযোগকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বর্ণনা করেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর (বিসিআইএএম-ইসি) দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সর্বাত্মক সমর্থন কামনা করেন। তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা বিসিআইএএম-ইসি বাস্তবায়নে লি কেকিয়াংকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে চীনের অধিকতর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন এবং মিয়ানমারে চীনা কম্পানির গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস আমদানিতে সহায়তার জন্য লি কেকিয়াংকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ গ্যাস ব্যবহার করতে পারবে এবং তা চীনা কম্পানি গুলোকেও সরবরাহ করা যাবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাতাসহ বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানালে চীনা প্রধানমন্ত্রী তাতে সম্মতি দেন। তিনি লি-কে এ বৃত্তি সুষ্ঠুভিত্তিক করার জন্য সরকারি পর্যায়ে একটি কাঠামো প্রণয়নের অনুরোধ জানান।
চীন সমুদ্র বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকায় এ ব্যাপারে গবেষণা এবং সমীক্ষা চালানোর জন্য শেখ হাসিনা বেজিংয়ের সহায়তা চান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষিতে সহযোগিতা এবং উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনের প্রযুক্তি বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনার এক অনুরোধের জবাবে চীনের প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি প্রযুক্তি বিনিময়ে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এবং সিইজিএডাব্লিউ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ায় চীনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে লি কেকিয়াং আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা। চীনা দলে বাণিজ্যমন্ত্রী এবং চীন সরকারের অন্য সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।