513
Published on জুন 9, 2014
আজ (সোমবার) বেইজিংয়ে ‘সাম্প্রতিক বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সাফল্য এবং চীনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে চীনের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা তাঁর চীন সফরকে একটি বিরাট সাফল্য উল্লেখ করে বলেছেন, এখন থেকে চীনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অতীতের চেয়ে আরো বেশি গুরুত্ব পাবে।
চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিআইআইএস) –এর নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত-চীন-মায়ানমার (বিআইসিএম) অর্থনৈতিক করিডোর প্রতিষ্ঠায় চীনের প্রস্তাবের প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন জানিয়েছে।
এক সময়ের জনপ্রিয় ‘সিল্ক রুট’ হিসাবে পরিচিত এই করিডোর প্রতিষ্ঠিত হলে নেপাল ও ভুটানসহ এ অঞ্চলের সব দেশের জনগণ লাভবান হবে।
স্বল্প সময়ে চীনের দ্রুত অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতির প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, চীনের সাম্প্রতিক উন্নয়নে তিনি অভিভূত। চীন থেকে বাংলাদেশে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর লিখিত ভাষণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে এ দেশের জনগণের লড়াইয়ে চীন আরো সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
চীনকে সহযোগিতার অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো আদর্শিক ও আঞ্চলিক পক্ষপাত ছাড়াই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থে কার্যকর যে কোনো ইস্যুকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়ে আসছে।জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে গভীরভাবে আগ্রহী।
এসময় চায়না ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ -এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক কুটনীতিক রুয়ান জংঝে তার স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে সাফল্যের বর্ণনা দেন।
রুয়ান জংঝে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের জন্য তাঁর প্রশংসা করেন।