500
Published on জুন 6, 2014প্রধানমন্ত্রী আজ কুনমিং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এক্সপোজিশন সেন্টারে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ইয়াং-এর সঙ্গে এক বৈঠকে এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীন ও বাংলাদেশ একসঙ্গে ভারত এবং মায়ানমারের সঙ্গে কাজ করতে পারে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, উভয় নেতা বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর ওপর আলোকপাত করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বর্তমানে এ সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে। চীনের উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেন, চীনের এই অগ্রগতি থেকে এ অঞ্চলের সব দেশ উপকৃত হবে।
আঞ্চলিক যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এতদাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, অধিকতর যোগাযোগ এ অঞ্চলের জন্য বেশি করে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।
বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইআরডি সচিব এম মেজবাহ উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিপুল বাণিজ্যিক ব্যবধানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিষয়টি চিহ্নিত করা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অধিকতর শুল্কমুক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ী পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন এবং আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করবেন। চীনের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এক চীন’ নীতির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে চীনের কল-কারখানা প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক ও শিল্পাঞ্চলের জন্য জমি দেয়ার প্রস্তাব দেন, যাতে চীনের বিনিয়োগ সম্প্রসারিত হয়। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর দেশ কল-কারখানা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে একটি আদর্শ স্থান হিসাবে বিবেচনা করে।
শেখ হাসিনা মায়ানমারে গ্যাস অনুসন্ধানরত চীনা কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশে গ্যাস আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এতে চট্টগ্রামে চীনের কোম্পানীগুলো লাভবান হবে। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা এবং দ্রুত জবাব দেয়ার আশ্বাস দেন।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং যোগাযোগের প্রতি বাংলাদেশের ইতিবাচক মনোভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও যোগযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে তাঁর দেশের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনান প্রদেশের গভর্নরের দেয়া ভোজসভায় অংশ নেন।