518
Published on জুন 4, 2014প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের প্রয়োজনে যন্ত্রপাতি, কাঁচামালসহ অন্যান্য সামগ্রী আনতে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা পাবে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা এদেশে অল্প খরচে শ্রমিকও পাবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার প্লট বরাদ্দ দিচ্ছে। কোন দেশ যদি বেশি বিনিয়োগে আগ্রহী হয় তাদের আরও বেশি সুবিধা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাঙালিদেরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
সরকারি দলের সদস্য আব্দুল মতিন খসরুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে শুধু জমিই নয় তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সের অর্থ দ্রুত পৌঁছানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে এনজিও ও মোবাইল ফোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের অনুমতি প্রদান এবং হুন্ডি তৎপরতা প্রতিরোধ ও দমনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন যুগোপযোগী প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলে ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স পাঠানোর লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ওয়েজ অর্নার্স ‘ডেভেলপমেন্ট বন্ড’-এ বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নির্ধারিত স্থিতি থাকা সাপেক্ষে বৈদেশিক মুদ্রায় আকর্ষণীয় হারে সুদ প্রদানের পাশাপাশি অন্যান্য প্রবাসী ও নিবাসীদের ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে ননরেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সী ডিপোজিট একাউন্ট, রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সী ডিপোজিট একাউন্ট, বাংলাদেশে অবস্থিত বন্ডেড ওয়্যারহাউজের মাধ্যমে খোলা এফসি হিসাব, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত স্থানীয় বাংলাদেশীদের খোলা এফসি হিসাব এবং স্থানীয় ও বিদেশী প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত জয়েন্ট ভেনচার কনসাল্টিং ফার্মের খোলা এফসি হিসাব ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রবাসী বাংলাদেশী বা এদেশীয় উপকারভোগীর মাধ্যমে রেমিট্যান্স বিষয়ক কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানোর জন্য ‘গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র’ স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৯৫২ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তা ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ১ হাজার ২৩০ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বর্তমান সরকার গত মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণকালে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৫ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২২ মে ২০ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
- বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)