535
Published on জুন 4, 2014সরকারি সূত্র জানায়, বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর সঙ্গে একটি যৌথ ইশতেহারে স্বাক্ষর করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে গ্রেট হলে একটি স্বাগত অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এখানে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। শেখ হাসিনা লি কেকিয়াং আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন।
সফরের প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কুনমিং যাবেন এবং পরে সেখান থেকে রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ বিমানে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী হযরত (র.) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছেড়ে যাবেন। বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় কুনমিং চাংশুই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক ও চীনের সরকারের প্রতিনিধিরা বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবেন।
বেইজিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ জুন জাতীয় বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিনি বেইজিং চাওয়াং থিয়েটার ও এক্রোবেটিক ওয়ার্ল্ডও পরিদর্শন করবেন।
৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইনিজ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাডিজ (সিআইআইএস)-এ একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া তিনি ১০ জুন বেইজিংয়ে চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামেও ভাষণ দেবেন।
তিনি গ্রেট হল অব পিপল-এ চীনের প্রেসিডেন্ট জি ঝিংপিং এবং চাইনিজ পিপলস্ পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের চেয়ারম্যান ইউ জেংসেং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
শেখ হাসিনা কুনমিংয়ে দ্বিতীয় চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ৬ জুন ইউনান প্রদেশের গভর্নর লি জিহেং আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ৭ জুন নবম চায়না-সাউথ এশিয়া বিজনেস ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। পরে তিনি স্টোন ফরেস্ট পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় ইউনান প্রদেশের গভর্নর তার পূর্বসুরিদের নিয়ে হোটেল সুইটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
সফরকালে শেখ হাসিনা সিসি টিভি, ফিনিক্স টিভি, ইউনান টিভি এবং চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনালের বাংলা বিভাগের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেবেন। তিনি চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। শেখ হাসিনা আগামী ১১ জুন হংকং হয়ে দেশে ফিরবেন।
- বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)