499
Published on জুন 4, 2014বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর আমরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রসারে প্রথম উদ্যোগ নেই। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করি। কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করি। কম্পিউটার ও আইটি যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত করি। মানুষ কম্পিউটার কিনতে ও ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়।
তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে যাওয়ার জন্য বিএনপি সরকারকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে ১৯৯১ সালের বিএনপি সরকার প্রায় বিনামূল্যে আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগটি হাতছাড়া করে। তখন অজুহাত তোলা হয়, এর সাথে যুক্ত হলে নাকি দেশের সব তথ্য পাচার হয়ে যাবে। ফলে দেশ বিশ্বের সাথে যুক্ত হওয়ার সহজ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মোবাইল ফোনের ব্যবসা থাকায় আর কোনো কোম্পানি আসেনি। কিন্তু ’৯৬-সরকারের সময় আইসিটি উন্নয়নের পাশাপাশি মোবাইল টেলিফোনের মনোপলি ভেঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করা হয়। একটা মোবাইল ফোন কিনতে এক লাখ টাকা লাগতো। কল রিসিভ কিংবা কল করলেও কলচার্জ মিনিটে ১০ টাকা লাগতো। বর্তমানে তা এক টাকার কম। বর্তমানে দেশের মানুষ ১১ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করছে।
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। গ্রামের জনগোষ্ঠীও মোবাইল ফোনে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিতে পারছে।
দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সুষ্ঠু বিকাশে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে টেলিযোগাযোগ আইনকে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হয়েছে। এই সেবাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছি। ৬টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যান্ডউইথড এর দাম কমেছে।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যহারের মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে বলে জানান তিনি।