464
Published on জুন 3, 2014পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুমোদন পাওয়া চার প্রকল্প হলো-ইমার্জেন্সী ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারী এন্ড রেন্ট্রোরেশন প্রজেক্ট (ইসিআরপিএস), বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (ফেজ-১), মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প।
মোট প্রকল্প বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২শ’ ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ১শ’ ৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ৪টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ২টি। ২টি প্রকল্প সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে।
একনেক সভায় ইমার্জেন্সী ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারী এন্ড রেন্ট্রোরেশন প্রজেক্ট (ইসিআরপিএস) নামক সংশোধিত প্রকল্পটি পাস হয়। প্রকল্পটি জিওবি ও বৈদেশিক অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের উপকূলবর্তী ১৩ জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনসহ জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
এদিকে মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১’শ ৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন
বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস ডেভেলপমেন্ট সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
একনেক সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহন করেন।