525
Published on মে 24, 2014বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শেষ বছর ২০০৬ সালে ১৪ লক্ষ জন সংখ্যার এ জেলায় মাত্র ৪৫ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পেতো। ২০০৭-২০০৮ এই দুই বছরে সুপেয় পানি প্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশ। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে শেখ হাসিনার সরকার জেলার ৭৫ ভাগ মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে।
পিরোজপুর পৌর এলাকার ১০ সহস্রাধিক পানি গ্রাহকের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে চলতি অর্থ বছরে।
সেকেন্ডারী টাউন ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের আওতায় শহরের ৪২ কিঃমিঃ পাইপ পরিবর্তন করে ৪ ইঞ্চি থেকে ৮ ইঞ্চিতে উন্নীত করা হয়েছে। পিরোজপুর পৌরসভা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে।
এ ছাড়া ১৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকায় শহরের বাইপাস সড়কে ছয়শত আশি ঘন মিটার পানি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ওভার হেড ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। একই রকম আরও একটি ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছে খুমুরিয়ায়। প্রতি ঘন্টায় তিনশত ঘন মিটার পানি শোধনের ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের নির্মাণ কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এসব প্রকল্প ৩ বছরের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাপ্ত হরা সম্ভব হয়েছে।
পল্লী এলাকার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে ৩ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলার সব উপজেলায় পাঁচ শত ৪০টি পানির উৎস স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে গভীর ও অগভীর নলকূপ, পুকুরের পানি বিশুদ্ধ করণ এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের কাজের শতভাগ এ অর্থ বছরে সম্পন্ন হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)