এডিবি’র সহায়তায় ১২.৫ লাখ যুবকর্মীকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেবে সরকার

433

Published on মে 19, 2014
  • Details Image

বর্তমান শ্রম বাজারের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে এবং কর্মসংস্থানের সুবিধার্থে যুব কর্মীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এই ঋণ সরকারের ১০৭ কোটি ডলারের ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রোগ্রামের সহায়ক হবে। এডিবি ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ৪০ কোটি ডলার, সুইজারল্যান্ড সরকার ৩ কোটি ডলার, বেসরকারি খাত ৯ কোটি ডলার এবং সরকার নিজস্ব উৎস থেকে ২০ কোটি ডলারের যোগান দেবে।

কর্মসূচিতে গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, চামড়া, নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণসহ ১৫টি অগ্রাধিকারমূলক পেশায় দক্ষতা প্রশিক্ষণে সহায়তা দেয়া হবে। এর প্রধানতম লক্ষ্য হচ্ছে বর্তমান শ্রম বাজার ৪০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশে উন্নীত করা।

তিন কিস্তির এই ঋণের প্রথম কিস্তির চুক্তি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তির চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে যথাক্রমে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে। আজ এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

প্রথম দফায় প্রতিবন্ধীসহ ৪০ হাজার নারী ও অনগ্রসরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এতে তিন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩২টি সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ৯টি শিল্প সমিতি, ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা ‘পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসপি)’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বিভাগ সম্পৃক্ত থাকবে।

এডিবির হিসেবে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শ্রমজীবীর সংখ্যা হবে ৭ কোটি ৮০ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবীকে কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্চমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ এবং দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ৪ গুণ বাড়াতে হবে।

২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল ২০১১ থেকে কাজ করছে।

দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি সম্পর্কে এডিবি’র দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক সাংসুপ রা বলেন, এই প্রোগ্রাম মালিকদের চাহিদানুযায়ী বৃত্তিমূলক ও কারিগরী দক্ষতা অর্জনকারীদের কর্মসংস্থানে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে ঐক্যবদ্ধ করবে।

এতে ভাল বেতনের অনেক চাকুরির সংস্থান হবে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উচ্চস্তরে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

সুত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা

TAGS:

Live TV

আপনার জন্য প্রস্তাবিত