491
Published on মে 18, 2014জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি : বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যত ভাবনা শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, পরিপূর্ণ আলোকিত মানুষ হতে হলে দক্ষতা ভিত্তিক জ্ঞান ও শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এই কর্মসুচি বাস্তবায়নে সরকারকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, আলোকিত মানুষ গড়তে হলে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা হবে প্রথম কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। বিদ্যালয়মুখী করতে নানা ধরনের কর্মষুচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার প্রায় শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সক্ষম হয়েছে। ঝরেপড়া রোধে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী সচিব কাজী আখতার হোসেন বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করা হবে।
সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে দেশে বর্তমানে ৬২ হাজার ৮শত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রায় এক লাখ ৪হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যূরো ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০-১৪ বছর বয়সী ১ লাখ ৬৬হাজার ১৫০জন কর্মজীবী কিশোর -কিশোরীকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর মৌলিক বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছে। বর্তমানে ১৫-৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর ব্যক্তিকে সাক্ষর জ্ঞান প্রদান করা হবে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
সুত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)