550
Published on মে 17, 2014বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে তৈরি ‘কোয়াটারলি ইকনোমিক আপডেট’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।
প্রতিবেদনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, যেমন মাঠ থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তা, সুলভমুল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ, গ্রামীন বাজারগুলোর উন্নয়ন এবং গ্রামীন পানি সরবরাহ ও পয়োঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর কথা বলা হয়েছে যা এই প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছে।
“তবে অনুকুল আবহাওয়া এবং গত বছর কম প্রবৃদ্ধির কারণে এবার কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৩ শতাংশ হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে মোট তিন কোটি ৫৯ লাখ টন খাদ্য (তিন কোটি ৪৬ লাখ টন চাল এবং ১৩ লাখ টন গম) উতপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
“অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
চলতি বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ার কারণে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে কৃষি খাতে ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও ২০১১-১২ অর্থবছরে তা কমে ৩ দশমিক ১১ শতাংশে নেমে আসে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তা আরও কমে ২ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শিল্প এবং সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি কম হবে। শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমে ৮ শতাংশে নেমে আসবে। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে।
‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৪’ প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে একই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি। গত ১ এপ্রিল প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।