511
Published on মে 13, 2014১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন চীনা বিমান বাহিনীর এয়ার চিফ মার্শাল ও সিপিসি সেন্ট্রাল কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ঝু কুইলিয়াং।
প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, চীন ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করেছে এবং এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে অনুকরণীয়।
আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সুসম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বের বিষয় নিয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে প্রতিটি দেশ তাদের সম্পর্ক জোরদার করবে। চীন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে শিগগিরই সম্পন্ন হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। এর ফলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
ঝু কুইলিয়াং আশ্বাস দিয়ে বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং আরো শক্তিশালীকরণে সমর্থন দিয়ে যাবে। তিনি বলেন, চীনা প্রতিনিধিদলের এ সফরের লক্ষ্য হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা গভীর করা।
প্রধানমন্ত্রী এয়ার চিফ মার্শাল ঝু কুইলিয়াংয়ের মাধ্যমে চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আব্দুস সোবহান সিকদার, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল এবং চীনের রাষ্ট্রদূত লি ঝুন উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)