562
Published on মে 13, 2014প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুদ্ধ পূর্ণিমা ২০১৪ উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরু, গণ্যমান্য ও প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে একত্রে বসবাস করছে এবং দেশে কোন প্রকার সংঘাতের সুযোগ নেই।
তাঁর সরকার শান্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একের প্রয়োজনে অন্যকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি গণভবনে আগত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং গৌতম বুদ্ধের অহিংস বাণী হৃদয়ে ধারণ করে দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, গৌতম বুদ্ধ শান্তি, সাম্য, বন্ধুত্ব, আত্মত্যাগ, ক্ষমা ও অহিংসার বানী প্রচার করে গেছেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া, ধর্ম বিষয়ক সচিব চৌধুরী মো: বাবুল হাসান, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্দ মহাথেরো, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পিকে বড়–য়া, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ কৃষ্টি সংঘের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো ও রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরো বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের সহ-সভাপতি সজল কুমার তালুকদার।
এর আগে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রতিনিধি দলের সদস্য তিন তিন নোং চৌধুরানী প্রধানমন্ত্রীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থ ও গৌতম বুদ্ধের প্রতিকৃর্তি উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে একটি শুভেচ্ছা কার্ডও দেন।