466
Published on এপ্রিল 27, 2014তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের মাধ্যমে ২০২১ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ উদ্যোগে আইডিবি’র সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি।’
সফররত আইডিবি’র প্রেসিডেন্ট আহমত মোহাম্মদ আলী আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বৈঠকে শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুবুল হক শাকিল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে আইডিবি’র প্রেসিডেন্ট ২০২১ সাল নাগাদ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে তার সংস্থার সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইডিবি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন অংশীদার। এ সংস্থা বাংলাদেশে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, কৃষি, মৎস্য, গবাদিপশু, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১৬১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র তথা স্কুল নির্মাণে সহায়তার জন্য আইডিবিকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ মানুষকে ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অধীনে জনগণকে প্রদত্ত ভাতা ব্যাংক ও ডাকঘরের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
আইডিবি’র প্রেসিডেন্ট বলেন, তার সংস্থা বাংলাদেশে একটি স্থানীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবে। এই কার্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার এ ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা দেবে।
অন্যান্যের মধ্যে এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।