2135
Published on এপ্রিল 24, 2014প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উদ্যোগ ও সহযোগিতা
গত বছরের ২৪ এপ্রিল ভয়াবহতম দুর্ঘটনার পর পরই সহায়তার প্রথম পর্যায়ে নিহত একশ’ শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে দেওয়া হয় সরকারি পর্যায় থেকে।
ইতোমধ্যে রানা প্লাজা ধসে নিহত ৯০৯ জনের স্বজনদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ২২ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৭২০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা যাতে সুবিধা পান, সেজন্য ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে স্বজনদের প্রত্যেককে (বাবা-মা-ভাইবোন-স্ত্রী বা স্বামী) আলাদাভাবে চেক দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ২২টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ১ কোটি ৪২ লাখ ১৪ হাজার টাকা, আহত উদ্ধারকর্মী কায়কোবাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠাতে ৩৫ লাখ এবং অশনাক্ত শ্রমিকদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত সরকার নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে তহবিলে ১৫ মিলিয়ন ডলার জমা করেছে। এখান থেকেই বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বুধবার এক অনুষ্ঠানে জানান।
এসবের পাশাপাশি সরকার কারখানার মালিক ও রানা প্লাজার মালিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে সরকার।
সরকারের আহ্বানে আইএলও’র উদ্যোগ
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের অর্থ সহায়তার জন্য একটি কার্যক্রম হাতে নেয় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। গ্লোবাল ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় আইএলও বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও বায়ারদের কাছ থেকে এ সহায়তার টাকা সংগ্রহ করছে। এ সংস্থাটি রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্থ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা বিতরণ করবে। সংস্থাটির তহবিলে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান জমা দিয়েছে।
আইনি কাঠামোকে শক্তিশালী করা
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দুই দফায় তৈরি পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ২২৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। পাস করা হয়েছে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন’২০১৩।
এ খাতের শ্রমিকদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় নীতি’২০১৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা পর্যালোচনা জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
এছাড়াও ৮০-৯০ শতাংশ কারখানার মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত হারে মজুরি প্রদান, অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার বেতন মাসিক বেতনের সঙ্গে দেওয়া, অধিকাংশ কারখানায় অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ না করানোর প্রচেষ্টা, কারখানায় অধিকাংশ শাখায় নিয়মমাফিক অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ না করানোর প্রচেষ্টা, কারখানার অধিকাংশ শাখায় নিয়মমাফিক অতিরিক্ত দু’ঘণ্টা কাজ করানো, কাঠামোগত ও বৈদ্যুতিক সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য এনটিসি’র আওতায় একর্ড, অ্যালায়েন্স ও বুয়েটের জরিপ চলছে।
অধিকাংশ কারখানায় আইনের বিধান বাস্তবায়নের প্রচলনের পাশাপাশি শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী ৩০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষরে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।
রানা প্লাজা ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও সহযোগিতা‘ বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্ক এ ক্লিক করুন ।