519
Published on মার্চ 22, 2014
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগে সাক্ষাতকালে এ কথা জানান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জাপানী বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির জন্য জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে জাপানী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ রফতানি প্রক্রিয়া অঞ্চল গঠনে জমি দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ও আওয়ামী লীগের বিগত দুই শাসনামলে জাপানী সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষ করে যমুনার ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু এবং আন্তর্জাতিক মানের হোটেল প্যান-প্যাসিফিক সোনার গাঁ হোটেল নির্মাণে জাপানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর একটি অভিনন্দন বার্তা শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
এসময় তিনি ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরকালের কিছু ছবিও শেখ হাসিনাকে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের গোড়াপত্তন হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা আরও জোরদার হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু জাপান সফরের সময় বোন শেখ রেহানা এবং ছোট ভাই শেখ রাসেলকেও সংগে নিয়ে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সংগে শেখ রাসেলকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
ফুমিও কিশিদা বলেন, শতাধিক জাপানী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কাজ করছে। এছাড়া আরও জাপানী কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বিগত বছরগুলোতে ৬ ভাগের উপর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশ সুনামের সংগে কাজ করছে উল্লেখ করে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ সুদানে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ এবং জাপানের কন্টিজেন্ট যৌথভাবে কাজ করছে।
ফুমিও কিশিদা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান সফরের জন্য সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে সুবিধাজনক সময়ে তিনি জাপান সফর করবেন। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রীকেও বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।