519
Published on মার্চ 13, 2014
তিনি বলেন, ‘আমি টি-২০ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট সফল করে দেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার জন্য যুবসমাজসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত ভিভিআইপি প্যাভিলিয়নে স্থাপিত জমকালো মঞ্চ থেকে আজ সন্ধ্যায় এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবার সরকার গঠনের পর দেশবাসীকে টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্ণাঢ্য আসর উপহার দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁদের গত মেয়াদের সরকারের সময় ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের বিরল গৌরব অর্জন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমাদের সরকারের সময়েই ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নেয়। পরের বছরই আমরা পাই টেস্ট খেলার মর্যাদা। যা আমাদের জন্য বড় অর্জন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণ টি-২০ ক্রিকেটকে দিয়েছে গতিময়তা ও করেছে আরো রোমঞ্চকর এবং যা তরুণদের করেছে আন্দোলিত।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্বকাপের এই আসর পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যের নিদর্শন হিসেবে দর্শকদের স্মৃতিতে রয়ে যাবে অনেকদিন।
প্রধানমন্ত্রী এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল দল ও খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বিসিবি, অর্থ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে যারা এই আয়োজনকে সফল করতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশ, নদীর দেশ, গানের দেশ, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন এবং লাখো শহীদের রক্তে ভেজা লাল-সবুজের এই বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী খেলোয়াড়, অতিথি এবং দর্শকদের স্বাগত জানান।
অর্থমন্ত্রী আবুল-মাল আবদুল মুহিত, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ৪০ হাজার দর্শককে স্বাগত জানান।
মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, খেলোয়াড় এবং অংশগ্রহণকারী দলসমূহের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।